২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪৩

একজন পরিসংখ্যান কর্মকর্তার দায়িত্বে ছয় উপজেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে নীলফামারী পরিসংখ্যান বিভাগে। এতটাই সংকট যে একজন উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন জেলার ছয় উপজেলায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা।

সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জেলা কার্যালয়ে ১ জন উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ জনের পদ থাকলেও নীলফামারী জেলায় রয়েছে মাত্র ৩ জন। দায়িত্বে থাকা ৩ জনের মধ্যে ১জন উপ-পরিচালক এবং ৪ জন পরিসংখ্যান সহকারীর মধ্যে রয়েছেন ২ জন। সংকট মোকাবেলায় নীলফামারী সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিস থেকে ১জন কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারীকে প্রেষণে নিয়ে এসে দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে জেলা অফিসে। জেলা অফিসে (উপ-পরিচালক কার্যালয়ে) ফাঁকা রয়েছে একজন সহকারী পরিসংখ্যান অফিসার, দু’জন পরিসংখ্যান সহকারী, একজন উচ্চমান সহকারী, দু’জন ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর, একজন কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, একজন গাড়িচালক, একজন এমএলএসএস ও একজন নাইটগার্ড। প্রেষণে নিয়ে আসা সদর অফিসের কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী কহিনুর ইসলাম বলেন, আমার মূল অফিস সদর উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসে হলেও জেলা অফিস হওয়ার পর থেকে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করছি। জনবল সংকটে দাফতরিক কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একই অবস্থা উপজেলা অফিসগুলোতেও। উপজেলা পর্যায়ে পাঁচজনের পদ থাকলেও বেশির ভাগ পদেই লোকবল নেই। ১ জন পরিসংখ্যান কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১ জন পরিসংখ্যান তদন্তকারী, দু’জন কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী ও একজন করে চেইনম্যান থাকার কথা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ডিমলা উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা এমদাদুল হক খান দায়িত্ব পালন করছেন মূল অফিস ডিমলা ছাড়াও বাকি পাঁচ উপজেলায়। সপ্তাহের কোনো না কোনো দিন ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও নীলফামারী সদর অফিসে সময় দেন। জানতে চাইলে এমদাদুল হক খান বলেন, কর্মকর্তা না থাকায় অতিরিক্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কষ্টকর হলেও অফিসের প্রয়োজনে এমন দায়িত্ব নিতেই হয়। তবে দ্রুত জনবল সংকট পূরণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্র জানায়, জেলার মধ্যে জলঢাকা ও সৈয়দপুরে ২ জন পরিসংখ্যান তদন্তকারী, কনিষ্ঠ পরিসংখ্যান সহকারী পদে নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ২জন এবং চেইনম্যান পদে জলঢাকা, নীলফামারী সদর ও ডিমলা অফিসে ৩ জন দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সংকটের কথা স্বীকার করে পরিসংখ্যান ব্যুরো নীলফামারী উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের দায়িত্বরত প্রনব পাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করা হয়েছে। অফিসিয়াল ভাবে ছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে জনবল সংকটের কথা জানিয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। প্রনব পাল মন্তব্য করে বলেন, যত দ্রুত শূন্য পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে তত দ্রুত অফিসগুলোয় কাজের গতি বাড়বে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :জুন ১০, ২০১৭ ১১:২১ পূর্বাহ্ণ