অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ সভাপতি এনামুল হক আরমানকে র্যাব-১ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয় থেকে বিকাল চারটার দিকে তাদেরকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার শুনানি শেষে অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন। এছাড়া তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকে মাদক আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুই মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের এবং আরমানের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে.কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানের মামলা দুটি তদন্ত করছে র্যাব। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর দুইজনকে ডিবি থেকে বিকালে র্যাবের কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। দুইদিন অতিবাহিত হওয়ায় আমরা সম্রাটকে আটদিন মতো জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেয়েছি।’
১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর তাকে নিয়ে শুরু হয় নানা গুঞ্জন। ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। পরে র্যাব-১ এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।