অন্যদিকে মিশা-জায়েদের এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নায়িকা মৌসুমী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যেসব শিল্পী আমাকে পছন্দ করেন তারাই আমার মিছিলে অংশ নিয়েছেন। আমি কোনো বাইরের লোক নিয়ে মিছিল করিনি। বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল করেছি, এটা মিথ্যা কথা। মিছিলের ভিডিও ফুটেজ আছে। নির্বাচন ঘিরে ওরা যখন যা ইচ্ছে বলে যাচ্ছে, এটা ঠিক না। দিন শেষে আমাদের সবার পরিচয় একটাই, আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী।’
মৌসুমী আরো বলেন, ‘এফডিসিতে শুধু শিল্পীরাই আসেন না। অনেক বাইরের লোকও আসেন। তারা কীভাবে এখানে ঢোকেন এটা আমারও প্রশ্ন। তারা ভেতরে ঢুকে, বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে ছবি তুলেন। বহিরাগত কেউ মিছিলের পাশে ঘুরলে তার দায়ভার আমার না।’
আগামী ২৫ অক্টোবর শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে জানা যায়—সভাপতি পদে লড়াই করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনো প্রার্থী নেই।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। অর্থাৎ সুব্রত জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন—অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।