ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর নির্যাতনে আবরার ফাহাদ হত্যার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সব ধরনের সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ। তবে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠবে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে বুয়েটকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করেছে ছাত্রলীগ।
শনিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান এই দাবি করেন। ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র।’
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বৈঠকে বুয়েটে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেন।
জয় বলেন, বুয়েটের উপাচার্য আরও দায়িত্বশীল হলে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। আমরা কোনভাবেই মনে করি না ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করছি।
গত রবিবার রাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে শিবির সন্দেহে রুমে শেরেবাংলা হলের কথিত ‘টর্চার সেলে’ ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ক্রিকেটের স্ট্যাম্প, লাঠি দিয়ে অমানষিকভাবে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে সে মারা যায়। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যা আজও অব্যাহত আছে।
এই ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় অধিকাংশ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।