স্পোর্টস ডেস্ক:
সেঞ্চুরির উদযাপন কতোজনে তো কতোভাবেই করেন। শচীন টেন্ডুলকার সেঞ্চুরি করলেই আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে কী যেন বলতেন! লোকমুখে প্রচার, টেন্ডুলকার আসলে স্বর্গবাসী বাবাকে স্মরণ করতেন! পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা সেঞ্চুরির পর সেজদা ঠুকে দেন উইকেটে। বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটাররাও তা করেন। কার্ডিফের সোফিঢা গার্ডেনে শুক্রবার সেই কাজটা করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। কার্ডিফের ঐতিহাসিক জয় থেকে তখন বাংলাদেশ মাত্র ৬ রান দূরে। মাহমুদউল্লাহ দাঁড়িয়ে ৯৮ রানে। ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন সাকিব। সেই কথা মনে করেই কিনা, মাহমুদউল্লাহও তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছালেন চার মেরে। ট্রেন্ট বোল্টের বলকে সীমানা ছাড়া করেই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সেজদা করলেন। নিকটে দাঁড়িয়ে তার সেই উদযাপন মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করলেন মোসাদ্দেক হোসেন।
ঠিক কী মনে করে সেঞ্চুরির উদযাপনটা এভাবে করলেন মাহমুদউল্লাহই ভালো বলতে পারবেন। ৩৩ রানে ৪ উইকেট পতনের পর যখন ব্যাট হাতে মাঠে নামলেন, তখন তার অনুভূতিটা কেমন ছিল সেটাও একমাত্র মাহমুদউল্লাহই জানেন! তবে সাকিবের সঙ্গে ব্যাট হাতে কার্ডিফের সবুজ চত্বরে যে বীরত্বগাথা রচনা করলেন, তাতে অনুমান করাই যায়, চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন মাঠে। পরিস্থিতি যত প্রতিকূলই হোক, খেলতে হবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে। করেছেনও তাই। সংগ্রামী, লড়াকু, নিজের জাত চেনানো সেই সেঞ্চুরির পর উদযাপনটা একটু ‘বিশেষ’ভাবে তো করাই যায়! মাহমুদউল্লাহ সেই বিশেষত্বটা খোঁজে পেলেন সেজদার মধ্যে। সেজদা করে সৃষ্টিকর্তার দরবারে হয়তো কৃতজ্ঞতা পেশ করলেন দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে ধৈর্য্যধারণের ক্ষমতা দেওয়ার জন্য। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সাকিবের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ২২৪ রানের জুটি, ১০৭ বলে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস, সবই তো ধৈর্য আর একাগ্রতারই ফসল।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ