‘প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, অসহায় বিচার ব্যবস্থা, গণতন্ত্রের মুক্তি আর কতদূর’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়বাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মওদুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া যেদিন বের হয়ে আসবেন, সেদিন বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র, বিচার বিভাগ, আইনের শাসন ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে আসবে।’
ক্যাসিনো প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ক্যাসিনোর সঙ্গে প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত ছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তারাও জড়িত ছিলেন। এগুলো না হলে কী করে এই প্রতিষ্ঠাগুলো প্রসার লাভ করেছে? সবাই এগুলো থেকে শেয়ার পেতো। এ কারণে তারা তখন তাদের ধরেনি। এখন কোনও একটা গোলমাল ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে বিষয়টা ফুটে উঠেছে।’ ক্যাসিনো অভিযান একটা আইওয়াশ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘আপনি বলেছেন অভিযান চালিয়ে যাবেন। আপনাকে স্বাগত জানাই। আপনি আপনার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, বর্তমান মন্ত্রী, সাবেক এমপি ও বর্তমান এমপিদের সম্পদের হিসাব দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করুন। তাহলে বুঝবো আপনি সত্যিকার অর্থেই এই অভিযান চালাতে চান।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমুখ।