রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে এমন চিত্র দেখা যায়। শনিবার সকায় নয়টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বেলা ১২টা পর্যন্তও ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। দুই একজন ভোটারকে মাঝেমাঝে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
ভোটার না আসায় নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা অনেকটা অলস সময় পার করছেন। তারা গালগল্প করেই অনেকটা সময় পার করছেন।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
সকাল নয়টায় প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’র মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে গত ১৬ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর আসনটিতে আজ ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
রংপুরের রাধা বল্লব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, ভোটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বসে বসে গল্প করে সময় পার করছেন। ভোটারদের উপস্থিতি নেই। তিন ঘণ্টায় মাত্র কয়েকজন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছে। ভোট কেন্দ্রের বাহিরেও লোকজন নেই। পাশে আরও দুইটি ভোট কেন্দ্রের একই অবস্থা।
সরকারি দল আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। আর বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী স্থানীয় নয়। সেই কারণে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের তেমন আগ্রহ নেই বলে বেশ কয়েকজন ভোটার জানান।
রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হতে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদপুত্র সাদ এরশাদ (লাঙ্গল) প্রতীক, বিএনপি’র প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ) প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটরগাড়ি) প্রতীক, এনপিপি’র শফিউল আলম (আম) প্রতীক, গণফ্রটর কাজী মা. শহীদুল্লাহ (মাছ) প্রতীক এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেয়াল ঘড়ি) প্রতীক।