বুধবার ভোরে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে স্থানীয় কয়েল ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধার বাড়িতে এক লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি চালান আসছে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশ মঙ্গলবার বিকাল থেকে ওই এলাকায় নজরদারি শুরু করে। পরে বুধবার ভোরে জামাল হোসেন মৃধার চার তলা বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়।
এ সময় একটি ট্রাঙ্ক থেকে নগদ এক কোটি টাকা এবং আমলমারির ভেতর থেকে আরও পঁচিশ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে বাড়িটির নিচ তলায় জামাল হোসেনের ব্যক্তিগত অফিস থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে পুলিশ সুপার গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত ব্যবসায়ী জামাল হোসেন মৃধা নিজেকে তিনটি কয়েল কারখানার মলিক দাবি করলেও এর কোনো বৈধ লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। জব্দকৃত টাকার বৈধ কোনো উৎসও দেখাতে পারেননি তিনি। এই টাকাগুলো হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার জন্য রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া কয়েল ব্যবসার আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছেন বলেও সন্দেহ পুলিশের। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে, ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং আবাসিক এলাকায় কয়েল কারখানা নির্মাণ করে পরিবেশ দূষণের অপরাধে পরিবেশ আইনে মোট তিনটি মামলা দায়ের করা হবে। পাশাপাশি জামাল হোসেন বাড়িতে এত টাকা কী কারণে রেখেছেন, ইয়াবা ব্যবসা করে কত টাকার মালিক হয়েছেন এবং তিনি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

