নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফুটবলার নাদির হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আপেল মাহমুদ শাহীনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ৪০-৫০ জন কর্মী নিয়ে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্টানে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় দেশীয় অস্ত্র দা, চাপাতি, রামদা দিয়ে প্যান্ডেলে ব্যবহৃত কাপড়, বাঁশ ও চেয়ার-টেবিল কেটে ফেলে তারা। স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসতে শুরু করলে পালিয়ে যায় তারা।
শুক্রবার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী ফুটবল মাঠে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ হামলা করে ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সেই লক্ষে স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্যান্ডেল তৈরি করেন।
জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরুজ মোল্লা জানান, শুক্রবার স্থানীয় চরনগরদী বাজারের ফুটবল খেলার মাঠে এক ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জিনারদী ইউনিয়ন বিএনপি। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এই লক্ষে বাজারের ফুটবল খেলার মাঠে কয়েক হাজার মানুষের জন্য একটি প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। চেয়ার টেবিলও প্রস্তুত করা হয়।
এ ঘটনার সত্যতা জানতে পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ শাহীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দের যোগাযোগ করলে তারা জানান, ইফতার মাহফিল করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হবে। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের এমন হুমকি পেয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর