২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১২:১৮

ঢেকি ঋণের নামে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা হাওয়া!

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : ঢেকি ঋণের নামে ১৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা হাওয়া হয়ে গেছে সোনালী ব্যাংকের। অন্যদিকে জনতা, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংক থেকেও হাওয়া হয়েছে ১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ যাদের নামে দেয়া হয়েছে তারা নিখোঁজ। এমন কী ঋণগ্রহীতাদের মধ্যস্থতাকারী সংস্থা স্বনির্ভর বাংলাদেশের সাইন বোর্ডও হাওয়া হয়ে গেছে।

সোনালী ব্যাংক সূত্র থেকে জানা যায়, স্বনির্ভর বাংলাদেশের সুপারিশে ঢেকি ঋণের নামে গ্রামীণ বিত্তহীনদের দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধার কামারজানি, সুন্দরগঞ্জ, ভরতখালী, গাইবান্ধা সদর, তুলসীঘাট শাখাসহ সোনালী ব্যাংকের ১৬টি শাখা থেকে টাকাগুলো প্রদান করা হয়।

স্বনির্ভর বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ের একজন ক্রেডিড সুপারভাইজারের মাধ্যমে এবং ব্যাংক ম্যানেজার ও সুপারভাইজারদের তত্ত্বাবধানে ২০০০ সালের পর থেকে নামে-বেনামে এই ঋণ দেয়া হয়।

দেখা যায়, এমন অনেক ব্যক্তির নামে ঋণ দেয়া হয়েছে, যাদের নাম ঠিকানা সবই ভুয়া। অভিযোগ উঠেছে, ভুয়া নামে ঋণ তুলে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা ও ক্রেডিট সুপারভাইজাররা নিজেরাই টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন । সে কারণেই এখন আর ঋণ গ্রহীতা ও সুপারিশকারী কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তাদের সাইনবোর্ড পর্যন্ত হাওয়া হয়ে গেছে। সোনালী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ঋণ আদায়ের চাপ থাকলেও তা চিঠি চালাচালিই পর্যন্তই।

এভাবে শুধু সোনালী ব্যাংকই নয়, গাইবান্ধায় জনতা ব্যাংক ৫ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক ১০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ভুয়া ঋণের নামে হাওয়া হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের গাইবান্ধা অঞ্চলের ডিজিএম আব্দুল কুদ্দুস ঋণের টাকা আদায় হচ্ছে না স্বীকার করে বলেন, ‘শুধু তাই নয় স্বনির্ভর বাংলাদেশ এর সাইনবোর্ড পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। ঋণ তো দূরের কথা মানুষও খুঁজে পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।’

তবে তিনি জানান- টাকা আদায়ের জন্য উচ্চ পর্যায়ে চিঠি দিয়েছেন, তারা বিষয়টি দেখছেন ।

প্রকাশ :অক্টোবর ১, ২০১৯ ১:৫৯ অপরাহ্ণ