সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এ কথা অপুই জানান। নায়িকার কথায়, ‘পরিবারের পাশাপাশি আমিও মানসিকভাবে বিয়ে করার প্রস্ততি নিয়েছি। একা একা জীবন চলে না। তা ছাড়া প্রত্যেকেই জীবনে অবলম্বন চায়, নিরাপত্তা চায়। তাই ঠিক করেছি আবার বিয়ে করব। আমার বাবা নেই। মা একমাত্র অভিভাবক। তিনিই পাত্র নির্বাচন করবেন। একবার নিজে ভুল করে সেই ভুলের মাসুল দিয়ে যাচ্ছি। এবার মায়ের পছন্দই আমার পছন্দ।’
অপু বিশ্বাস অভিনীত শেষ ছবি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’। এটি পরিচালনা করেছেন দেবাশীষ বিশ্বাস। এখানে তার নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। অনেক আগে শুটিং শেষ হলেও ছবিটি এখনো মুক্তির অপেক্ষায়। কবে মুক্তি পাবে সে তারিখও এখনো ঠিক হয়নি। তার পরও ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ নিয়ে বেশ আশাবাদী অপু। বলেন, ‘ছবিটি দর্শক পছন্দ করলে আবার অভিনয়ে নিয়মিত হবো। নইলে পর্দার আড়ালে চলে যাবো।’
প্রসঙ্গত, সাবেক স্বামী শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই প্রেমে পড়ে যান দুই তারকা। ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। দীর্ঘ ৯ বছর সে খবর গোপন করে রাখেন। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ কলকাতা চলে যান অপু। সেখানে জন্ম হয় ছেলে জয়ের। তাকে নিয়ে ফিরে আসেন ২০১৭ সালে। তার কিছুদিন পরই একটি বেসরকারি টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে গিয়ে ফাঁস করেন শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ের কথা।
এই ঘটনার পরই তীব্র হয়ে ওঠে শাকিব-অপুর দাম্পত্য কলহ। কারণ শাকিব অপুকে আগেই বারণ করে দিয়েছিলেন বিয়ে ও সন্তানের কথা তার অনুমতি ছাড়া প্রকাশ না করতে। সে বারণ উপেক্ষা করে সবকিছু প্রকাশ করায় ক্ষীপ্ত হয়ে যান শাকিব। নানা অভিযোগ এনে ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর অপুকে তিনি তালাকের নোটিশ পাঠান। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সেই তালাক কার্যকর হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন দুইবার সালিশ ডেকেও টেকাতে পারেনি তাদের সংসার।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

