২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:০৭

৯৯৯-এ কল দেওয়ায় নারীকে নির্যাতন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে কল করায় এক নারীকে নির্যাতন এবং যুবলীগ নেতাকে মামলা দিয়ে ফাঁসানের অভিযোগে উপজেলার ধাপরহাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নওয়াবুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রত্যাহারের পর তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ও প্রশাসনিক কারণে ইনচার্জ নওয়াবুরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহায়তা চাওয়ায় নারীকে নির্যাতন এবং পলাশ নামে এক ব্যক্তিকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই নওয়াবুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর শাম্মি আকতার নামে এক নারী লিখিত অভিযোগে জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল করে সাহায্য চাওয়ায় পুলিশ পরির্দশক নওয়াবুর তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লোকজন দিয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করারও অভিযোগ করেন শাম্মি আকতার।
একইদিন পারিবারিক দ্বন্দ্বের একটি ঘটনায় ভিডিও ধারণে পুলিশ সদস্যক বাঁধা দেয় ধাপেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাব্বি শাহান পলাশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে যুবলীগ নেতার হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে পলাশকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে বেদম মারধরের অভিযোগ ওঠে ইনচার্জ নওয়াবুরের বিরুদ্ধে। পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়া ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগ এনে তাকেসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন ইনচার্জ নওয়াবুর।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯ ৫:০৬ অপরাহ্ণ