তিনি জানান, রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া অভিযানে ফু-ওয়াং ক্লাব থেকে নগদ সাত লাখ টাকা, দুই হাজার বোতল বিদেশি মদ, ১০ হাজার ক্যান হান্টার বিয়ার জব্দ করা হয়। এসময় ক্লাবটির তিন কর্মচারী জাহিদ, জেভিয়ার জেরি ডি কস্টা ও চঞ্চলকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, জব্দ বিদেশি মদের বোতলের মধ্যে ৩ পার্সেন্ট অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। জব্দ বিয়ারের ৫০ শতাংশও অননুমোদিত।
ক্লাবটি তার সদস্যদের বাইরেও মদ ও মাদকদ্রব্য বিক্রি করতো, যা মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনবিরোধী বলে জানান লে. কর্নেল মো. সারোয়ার বিন কাশেম।
এরআগে, বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ক্লাবটিতে প্রবেশ করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ (র্যাব) এর সদস্যরা। অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট আনিসুর রহমান ও নিজাম উদ্দিন।
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালেও ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। চলমান ক্যাসিনো, জুয়া, হাউজি ও মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অভিজাত এলাকার এ ক্লাবটিতে অভিযান চালানো হলেও অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি বলে তখন জানানো হয়েছিল।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল আল মামুন বলেছিলেন, ‘ফু-ওয়াং ক্লাবে পরিচালিত অভিযানে অবৈধ কোনও কিছু পাওয়া যায়নি। এখানে একটি বার রয়েছে, তবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ওই বারের অনুমতিপত্র (লাইসেন্স) দেখাতে পেরেছে।’
পুলিশের অভিযানের পর ক্লাবটির ম্যানেজার মো. শামীম বিল্লাহ দাবি করেছিলেন, ‘আমি গত ৩ বছর এখানে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বরত আছি। এখানে মদের বার রয়েছে। সেটির লাইসেন্সও আমাদের কাছে আছে। এছাড়া এখানে জিমনেশিয়াম রয়েছে। তবে এখানে কোনও ক্যাসিনো বা জুয়া খেলা হয় না।’