এতে আক্রান্ত গরুর প্রথমে পা ফুলে যায়। এরপর জ্বর হয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে গোটা শরীরে বসন্তের মতো ফোঁসকা দেখা দেয়, যা পরবর্তীতে ঘায়ে পরিণত হচ্ছে। এতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গরুপালক ও খামারিদের মাঝে।
যশোরে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে গত জুন মাস থেকে। জেলার ৮ উপজেলায় ১৭ হাজার গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ টির। এ ছাড়া আক্রান্ত হওয়ার পর গর্ভপাত হয়েছে ১০৪টি গাভীর। আক্রান্তের মধ্যে হালের বলদ, দুধের গাভী, সদ্যোজাত বাছুরও রয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলোর পা ফুলে গেছে, সারা শরীরে বসন্তের মতো গুটিগুটি ফোঁসকা হয়েছে। পায়ের খুরায় ক্ষত দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত গরুগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে না। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকছে। খাওয়ায় আগ্রহ নেই। ফলে গরুর মালিকরা আতঙ্কে আছেন। এ রোগ কীভাবে প্রতিরোধ করবে বুঝতে পারছেন না তারা।
তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার জানান, এই রোগে অতটা মৃত্যুঝুঁকি নেই। তবে এতে গরুর অনেক ক্ষতি হয়। অন্য গরু থেকে আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখতে হবে। মশার মাধ্যমে ছড়ানোর কারণে অবশ্যই রোগাক্রান্ত গরুকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে। সুস্থ গরুও মশারির মধ্যে রাখলে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। রোগের উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৫৭৪টি গরু আক্রান্ত হয়েছে মণিরামপুর উপজেলায়। মৃত্যু হয়েছে ৫টি গরুর। এ ছাড়া এ উপজেলায় আক্রান্ত হওয়ার পর গর্ভপাত হয়েছে ২৫টি গাভীর।