এতে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ডিসির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রাথমিক তদন্তে তাৎক্ষণিকভাবে ডিসি আহমেদ কবীরকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এরপর গত ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত দলের সদস্যরা জামালপুর ডিসি কার্যালয়ে পৌঁছে কাজ শুরু করেন।
তবে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার ফলে দ্বিতীয়বারের মতো গঠিত কমিটি ১০ দিন (কর্মদিবস) বাড়ানোর আবেদন জানায়। ৯ সেপ্টেম্বর রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফফার খান তদন্তে কমিটির চাহিদা মোতাবেক ১০ কর্মদিবস সময় বাড়িয়ে দেয়।
পরে ড. মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত দলের সদস্যরা জামালপুর ডিসি কার্যালয়ে পৌঁছে ডিসির বিশ্রাম কক্ষ পরিদর্শন করেন এবং জড়িত নারীর সঙ্গে কথা বলেন।
জানা গেছে, ভিডিও সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি কমিটি কয়েকটি সুপারিশও করেছে।
জামালপুরের ঘটনার পর তুমুল আলোচনায় আসা ডিসির খাস কামরা নিয়েও সুপারিশ করেছে কমিটি। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ডিসির কাজের ধরন অনুযায়ী বিশ্রাম নেয়ার জন্য খাস কামরা থাকতেই পারে। কিন্তু সেখানে দরজা বন্ধ করে খাট-পালঙ্কের আয়োজন না করে বড়জোর ইজি চেয়ার বা ডিভান টাইপের কিছু রাখা যেতে পারে।