সেগুনবাগিচার ওই বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জল জানান, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তিন জন লোক এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। এরপর তারা নেপালি নাগরিকদের ফ্ল্যাটে যায়। তারা ঘণ্টাখানেক পর বের হয়। এরপর ১৫ নেপালি নাগরিক বের হয়ে যান।
বাড়িটির প্রধান ফটকের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তিন জন ব্যক্তি লিফটে ওঠেন। তাদের সঙ্গে কেয়ারটেকার উজ্জলও ছিল। লিফটে উঠে তারা ভবনের পঞ্চম তলায় যান। রাত ১১টা ২৮ মিনিটে বের হয়ে চলে যান। এসময় তাদের হাতে একটি ব্যাগ দেখা যায়। ওই তিন ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর রাত ১টা ৪৬ মিনিটে প্রথম চারজন নেপালি সিঁড়ি দিয়ে নামেন। তাদের হাতে ব্যাগ দেথা গেছে। এরপর আরও চারজন নামেন। তারপর একজন, শেষে দুজন বের হন। তাদের প্রত্যেকের হাতে ব্যাগ ছিল। ১৫ জন নেপালি এভাবেই ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান।
সেগুনবাগিচার এই ভবনটি শাহবাগ থানার অধীনে। ওই তিন ব্যক্তি শাহবাগ থানার কেউ কিনা জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ‘সেদিন রাতে শাহবাগের কোনও পুলিশ ওই বাসায় যায়নি। কারা সেখানে গিয়েছিল তাও জানি না।’
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে যে তিন জনকে দেখা যাচ্ছে, তারা আমার বিভাগের কোনও থানার পুলিশ সদস্য না। তারা পুলিশ কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তারা কারা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তারা পুলিশ হোক বা অন্য কোন ওবাহিনীর হোক, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
তাদের হাতে ওয়াকিটকি থাকার বিষয় সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ওয়াকিটকি আজকাল অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেই থাকে। এটা যে কারও হাতে থাকতে পারে। পুলিশ ছাড়া অন্য বাহিনীও ব্যবহার করে। এটা দেখে পুলিশ নিশ্চিত হওয়া যায় না। তারা যারাই হোক তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।’
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

