সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় ইয়েমেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্যপূর্ণ নীতি-অবস্থানের মারাত্মক অভাব দেখা দিয়েছে। আমরা ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছি। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পূর্ণ প্রত্যাশিত ছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেন। তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি পারস্য উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী, বি-৫২ বোমারু বিমান ও এফ-২২ জঙ্গি বিমান প্রেরণ করেন।
এদিকে ইরান পরমাণু সমঝোতায় অটল থেকে এখন পর্যন্ত কৌশলগত ধৈর্য অবলম্বনের নীতি বজায় রেখেছে। ইউরোপীয় দেশগুলো আমেরিকাকে ছাড়া এই সমঝোতা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।