ঢাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারটা এখনও বড় ক্ষত হয়ে আছে বাংলাদেশের জন্য। ফাইনালে নামার আগেই সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বাগতিকদের দাপুটে জয়, অন্যদিকে আফ্রিকার এই দেশটির বিপক্ষে হারের ধাক্কায় আত্মবিশ্বাসে কিছুটা হলেও চিড় ধরেছে আফগানদের। বাংলাদেশ সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে রশিদ খানদের বিপক্ষে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে চাইছে।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। তার আগে এই ম্যাচটি দুই দলের জন্যই ‘প্রস্তুতি’র মঞ্চ। তবে বাংলাদেশের জন্য আফগান বাধা কাটানোর মিশনও। টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের বিপক্ষে যে টানা চার ম্যাচ হেরেছে সাকিবরা!
২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওটাই আফগানদের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ সাফল্য। এরপর আরও চারবার মুখোমুখি হলেও প্রতিবারই শেষ হাসি হেসেছে আফগানরা। দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াটওয়াশ হওয়ার পর ঢাকাতেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ।
রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবীর স্পিনের সামনে প্রায় সব ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনাদের। আগের ব্যর্থতা ভুলে ফাইনালের আগে আফগান স্পিন-জুজু কাটানো খুবই জরুরি সাকিবদের জন্য।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতে হারের পর দলে বড় পরিবর্তন এনেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেখা গেছে সেই পরিবর্তনের প্রভাব। তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও নাজমুল হোসেন শান্তর অভিষেক হয়েছে ওই ম্যাচে। দুই বছর পর ফিরেছিলেন শফিউল ইসলাম। আফগানিস্তানের বিপক্ষেও একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া শান্তকে বসিয়ে খেলানো হতে পারে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। এছাড়া প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করা লেগ স্পিনার বিপ্লব ইনজুরির কারণে ছিটকে যেতে পারেন, তার জায়গায় ফিরতে পারেন তাইজুল ইসলাম। আরও একটি পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে অনুশীলনে। পেসার রুবেল হোসেনকে নিয়ে শুক্রবার পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টকে অনেক পরিশ্রম করতে দেখা গেছে। মোস্তাফিজ কিংবা শফিউলের বদলে রুবেলকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
এদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লেগেছে আফগানিস্তানের। তাদের স্পিনারদের পাত্তাই দেয়নি জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের ব্যাটিং নিশ্চিতভাবেই উজ্জীবিত করবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। আর পেস বোলিংয়েও ক্রিস্টোফার এমপোফু পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের পেসারদের। এখন দেখার বিষয়, সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আফগান ব্যাটসম্যান ও বোলারদের বিপক্ষে কতটা কার্যকর হতে পারে সাকিবরা।