ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভোরে শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এতে তার সহযোগী আটক অপর চারজনকেও আসামি করা হয়েছে। আজকেই তাদের আদালতে নেয়া হবে।’
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- ক্লাবের কর্মচারী হাফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারুন, আনোয়ার হোসেন ও লিটন মিয়া।
শুক্রবার বিকালে থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ক্লাবের অফিস রুম থেকে একহাজার পিস হলুদ রঙের ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। এছাড়া একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
অভিযান শেষে র্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ব্রিফিং করে অভিযান বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
গ্রেপ্তারের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সফিকুল আলম ফিরোজ বলেন, ‘আমি নির্দোষ। কেন আটক হলাম জানি না। কিছু তাস ছিল আমার রুমে। কোথা থেকে ইয়াবা এলো জানি না।’ সফিকুলের দাবি করেন, তিনি ক্যাসিনো খেলা বা ইয়াবা সেবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
অস্ত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, ‘আমার কথা বলা নিষেধ।’ আটকে উপরের কোনো নির্দেশ ছিল এমন প্রশ্নে সফিকুল বলেন, ‘আমি জানি না। তবে আমাকে আটক দেখানো হয়েছে।’
এবারের জাতীয় নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সফিকুল। তিনি কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য।