২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:৩৬

সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বাদীর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা

বরিশাল প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করায় স্বামী সিদ্দিক হাওলাদারকে আসামিরা হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সিদ্দিককে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলাপাড়ার পশ্চিম চাপলী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে একজনকে গ্রেফতার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ এ কথা জানান।

একই গ্রামের শাহে আলম, মনু মাঝি, সাকিল, মামুন, রবিউল, শাহিন ও রফিকসহ ১৫/২০ জনের একটি এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

আহত ছিদ্দিকের ভাই কবির হাওলাদার জানান, তার ভাই বাড়ির অদূরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় ৭/৮ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাত ৩টার দিকে শেরে-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও জানান, ৫/৬ মাস আগে স্থানীয় বখাটেরা সিদ্দিকের স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় সিদ্দিক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে তারা মাসখানেক হাজতবাস করে। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পেয়েছে। এরপর থেকেই আসামিরা বাদীকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় সিদ্দিকের ওপর হামলা করা হয়।

শেরে-ই বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, আহতের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষার-নীরিক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। তবে তার যথাযথ চিকিৎসা চলছে।

মহিপুর থানার ওসি সোহেল আহমেদ জানান, বুধবার দুপুরে আবুল খায়ের নামের এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ