মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফাওজিয়াকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগ। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এই নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা গ্রহণ করবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
তবে সোমবার এই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট করেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা গভর্নিং বডির থাকলেও, সরকার অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে মাউশির একজন কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়।’
রিট আবেদনে ফওজিয়াকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেনো অবৈধ হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় প্রজ্ঞাপন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কার্যক্রমের ওপরে স্থিতাবস্থা জারিরও আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ, অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।