২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৫১

হঠাৎ বেড়েছে খাদ্যশস্য আমদানির এলসি খোলার হার

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিদেশ থেকে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের খাদ্যশস্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এলসি খোলা হয়েছে ১৭ কোটি ৮ লাখ ডলারের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, খাদ্যশস্য আমদানির জন্য এলসি খোলার পরিমাণ বাড়লেও এলসি নিষ্পত্তির হার ৪০ শতাংশ কমেছে। এই বছরের জুলাই মাসের তুলনায় আগের বছরের জুলাই মাসে এলসি নিষ্পত্তির হার কমেছে ৪০ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে খাদ্যশস্য আমদানির জন্য এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।

জুলাই মাসে খাদ্যশস্য আমদানির জন্য এলসি খোলার হার বাড়লেও এ সময়ে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গত জুন পর্যন্ত সার্বিক আমদানির বাণিজ্য নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গত জুন মাসে আমদানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর আগের মাস মে মাসেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত এপ্রিল মাসে আমদানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এর আগে, মার্চে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি মাত্র ১ শতাংশে আটকে ছিল। আর গত ফেব্রুয়ারিতে আমদানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাইনাস ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

গত জুন মাসে আমদানিতে শুধু নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা-ই নয়, আমদানির পরিমাণও কমে গেছে। ২০১৮ সালের জুনে আমদানিতে ব্যয় হয়েছিল ৪২৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার। ২০১৯ সালের জুনে আমদানি ব্যয় হয়েছে ৩৮৮ কোটি ১২ লাখ ডলার।

খাদ্যশস্য আমদানির এলসি খোলার হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘এলসি খোলার হার বাড়লেও নিষ্পত্তির হার বাড়েনি। এ কারণে খাদ্য আমদানি বেড়েছে  বলা যাবে না। আগামী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় বছরের কোনও এক মাসের সঙ্গে অন্য বছরের ওই মাসের তুলনা করলে মনে হবে আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এজন্য আরও এক মাস দেখতে হবে।’ এর আগে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ ১২:২১ অপরাহ্ণ