দেশজনতা অনলাইনঃ সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারাও পাচার হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে গত জুন পর্যন্ত কক্সবাজার এলাকা থেকে ৪২০ জন রোহিঙ্গা পাচার হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক এক কর্মশালায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ এই কর্মশালার আয়োজন করে। পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিক্স অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট আফেয়ার্স (আইএনএল)।
কর্মশালার ধারণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের আসার পর কক্সবাজার এলাকার মানবপাচার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
কর্মশালায় পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালেরমো প্রোটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটা ধারণা করতে কয়েক বছর লেগে গেছে যে পাচারকারীরা কীভাবে অভিবাসন ব্যবসার মধ্যে ঢুকে গেছে। তারা অভিবাসনের মধ্যে ঢুকে মূলত মানবপাচারের কাজ করছে। এটা সারাবিশ্বে হচ্ছে, এমনকি বাংলাদেশেও হচ্ছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে জাতিসংঘ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের পালেরমো প্রটোকলে ১৭৪টি দেশ সই করেছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার ব্রেন্ট ক্রিসেন্সেন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবপাচার প্রতিরোধে পালেরমো প্রটোকলকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে এতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই। মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনি প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে জানান তিনি।
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতার অভাব এবং অভিবাসনের জন্য অনেক বেশি খরচের কারণে মানুষ অনিরাপদভাবে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আমরা অভিবাসীদের অধিকার ও ভালো থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। মানবপাচার রোধে সবসময় সরকারের পাশে থাকার কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে এরই মধ্যে সরকার অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। মানবপাচার বিষয়টি যেভাবে বড় হচ্ছে সেই হারে আমাদের মানবসম্পদ নেই। তবে সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে মানবপাচার প্রতিরোধ করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের মাইগ্রেশন নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ এই কর্মশালার আয়োজন করে। পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব ইন্টারন্যাশনাল নারকোটিক্স অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট আফেয়ার্স (আইএনএল)।
কর্মশালার ধারণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের আসার পর কক্সবাজার এলাকার মানবপাচার পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
কর্মশালায় পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালেরমো প্রোটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটা ধারণা করতে কয়েক বছর লেগে গেছে যে পাচারকারীরা কীভাবে অভিবাসন ব্যবসার মধ্যে ঢুকে গেছে। তারা অভিবাসনের মধ্যে ঢুকে মূলত মানবপাচারের কাজ করছে। এটা সারাবিশ্বে হচ্ছে, এমনকি বাংলাদেশেও হচ্ছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে জাতিসংঘ সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের পালেরমো প্রটোকলে ১৭৪টি দেশ সই করেছে বলে জানান তিনি।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার ব্রেন্ট ক্রিসেন্সেন বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবপাচার প্রতিরোধে পালেরমো প্রটোকলকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে এতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাই। মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইনি প্রশিক্ষণসহ নানা ধরনের সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী বলে জানান তিনি।
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, কর্মসংস্থানের অভাব, নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতার অভাব এবং অভিবাসনের জন্য অনেক বেশি খরচের কারণে মানুষ অনিরাপদভাবে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। আমরা অভিবাসীদের অধিকার ও ভালো থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। মানবপাচার রোধে সবসময় সরকারের পাশে থাকার কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধে এরই মধ্যে সরকার অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। মানবপাচার বিষয়টি যেভাবে বড় হচ্ছে সেই হারে আমাদের মানবসম্পদ নেই। তবে সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করলে মানবপাচার প্রতিরোধ করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।