২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:৪০

পরিবেশ দূষণের দায়ে শিগগিরই ডিএনসিসিকে জরিমানা

প্রসঙ্গত, আমিনবাজারে ডিএনসিসির ওই বর্জ্য ডাম্পিংয়ের ল্যান্ডফিলটি কোনও ধরনের পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে। গত ৪ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হয়।

শনিবার বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আমিনবাজার বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনটি সম্পূর্ণ অবৈধ। এটি বন্ধ করতে আগে চিঠি দেওয়া হলেও তারা সময় চেয়েছে। আজকের বৈঠকে আমরা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ও একমত হয়েছে। তারা শিগগিরই চিঠি দেবে।’

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘পরিবেশ দূষণের জন্য জরিমানা করার বিধান আছে। আইন সবার জন্য সমান। সিটি করপোরেশন এখানে কোনও বিশেষ সুবিধা পেতে পারে না।’

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের তথ্য অনুযায়ী, আমিনবাজার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের শুরুতে এই প্রকল্পের জন্য ‘স্থানগত ছাড়পত্র’ পায় সিটি করপোরেশন। তখন ঢাকায় অবিভক্ত সিটি করপোরেশন ছিল। এরপর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট’ করে প্রতিবেদন দিতে হয়। সেই প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদফতর।

আমিনবাজার ডাম্পিং স্টেশনের জন্য ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হলেও বর্তমানে কাজ চলছে ৭৩ একর জমির ওপর। এতে জমির মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এদিকে, সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, আমিনবাজারের বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন নিয়ে আলোচনা ওঠার পর পরিবেশ অধিদফতর ডিএনসিসিকে ৩টি নোটিশ দেয়। ডাম্পিং স্টেশনটি বন্ধ করার জন্য জানিয়ে দেওয়া হলেও তাতে রাজি হয়নি ডিএনসিসি। এ ব্যাপারে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে জানানো হয়, ডাম্পিং স্টেশনটি এক বছরের মধ্যে বন্ধ করা হবে।

ডিএনসিসি ওই স্টেশন বন্ধে রাজি না হয়ে উল্টো পরিবেশ অধিদফতরকে তাদের ‘এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’ (ইএমপি) তৈরি করে দিতে বলে। জবাবে অধিদফতর বলেছে, ইএমপি করার কাজ তাদের নয়। তারা এ ব্যাপারে গাইড দেবে।

সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার, মোজাম্মেল হোসেন, দীপংকর তালুকদার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, জাফর আলম, রেজাউল করিম বাবলু ও খোদেজা নাসরিন আক্তার।

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ ৬:১৭ অপরাহ্ণ