নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির ভয়ে সরকার অন্যায় ভাবে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। সেই সাথে তারা মিডিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে আটকে রাখার কারণ উল্লেখ করে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে মির্জা ফখরুল বলেন, কারণ একটাই, তিনি বাইরে থাকলে এই এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করবেন। এই অবৈধ সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অত্যন্ত অসুস্থ। তার ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেড়ে গেছে, গায়ের ব্যাথা বেড়ে গেছে, তিনি কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতে- চলতে পারেননা। হুইল চেয়ারে চলছেন। কিন্তু, এই সরকার, তার কর্মকর্তারা এবং ডাক্তাররা বলছেন তিনি নাকি সুস্থ হয়েছেন। মূলত তিনি একেবারে সুস্থ নন। অসুস্থ অবস্থায় তিনি কারারুদ্ধ দিন পার করছেন। আমরা তার সুচিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করছি।’
নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, কথা বলার অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তাদেরকে সরিয়ে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে দুটি মিথ্যা মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে। আজকে দেড় সপ্তাহ থেকে দেড় বছর হতে চললো, তিনি জেলখানায়। তার একটি মাত্র কারণ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আদালতে বিচারকরা মুক্ত মনে কাজ করতে পারছে না। আর এ কারণের আইনি প্রক্রিয়ার তাকে মুক্ত করা যাচ্ছে না।
তবে মওদুদ জানান, তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। সেই সাথে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নামবেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের মনে হয় বেশী দিন মানববন্ধন চলবে না। আমাদেরকে দানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হবে। আমরা যদি মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারই একমাত্র বাধা, তাহলে সরকারের পতনের আন্দোলনই আগে করবো। তারপর খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবেই মুক্ত হয়ে আসবেন।’
বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে আর মানববন্ধন কর্মসূচি নয়, যথাযথ কর্মসূচি দেয়ার দাবি জানান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলাল।
সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশে আলাল বলেন, ‘আপনারা কর্মসূচি দেন। আমরা সকলে মিলে সংগঠিত হয়ে রাজপথে নেমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং সেই সাথে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। এর জন্য সারাদেশে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।’