ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার জন্য কর্মজীবনে অর্জিত সঞ্চয়, ভিটেমাটি বিক্রি করেও চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তশালীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন জাকির খাঁন।
মোহাম্মদ জাকির খাঁন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের কল্যাণের জন্য কাজ করেছি দীর্ঘ ৩৪ বছর। মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর জীবনের অর্জিত সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করেছি। পৈত্রিক ভিটেমাটি বিক্রি করেও কোনো উপায় দেখছি না। ইতোমধ্যে দেশ এবং দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। চিকিৎসক জানিয়েছেন, অন্তত আরো ৬টি ইনজেকশন নিতে হবে। যার মূল্যসহ ব্যয় হবে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এখন আমার কাছে নিজ প্রাণটুকু ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নাই।’
ব্যক্তিগত জীবনে চার কন্যা সন্তানের জনক জাকির খাঁন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হলেও স্কুল পড়ুয়া আরো দুই কন্যা সন্তান আছে। যদি সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তায় সুস্থ্য হয়ে কর্মজীবনে ফিরতে পারি তবেই তাদের মুখে খাবার জুটবে এবং হাসি ফুটবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে কিছু অর্থ সহায়তা পেয়েছি, যা অনেক আগেই ব্যয় করেছি। তাই বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থসহ সার্বিক সহায়তা প্রত্যাশা করছি।’
মোহাম্মদ জাকির খাঁন এখন নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামে রয়েছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণে জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছেন এই পরিচালক। দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত তিনি। ‘মনের অজান্তে’, ‘মন চুরি’, ‘রাঙামন’, ‘চার অক্ষরের ভালবাসা’সহ ১১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। এ ছাড়া ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ’, ‘স্বপ্নের মধ্যে তুমি’ সিনেমা নির্মাণাধীন রয়েছে।