দেশজনতা অনলাইন : সাগর উত্তাল। উত্তর বঙ্গোপসাগরসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে হালকা ঝড়ো হাওয়া বইছে। তাই জেলেরা উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করছেন। আবহাওয়া দফতর বলছে, এমন অবস্থা চলবে আরও কয়েকদিন। আর এ কারণে সাগরে প্রচুর ইলিশ থাকার পরও জেলেদের জাল খালিই থাকছে।
এরই মধ্যে কক্সবাজারের ফিশারিঘাটে ইলিশের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজধানীর বাজারগুলোতেও। এ অবস্থায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে দেড় থেকে ২০০ টাকা।
আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে হালকা ও মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সাগরে মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ সাগরের কূলবর্তী জেলা কক্সবাজার থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হলেও এসব অঞ্চলের নদীগুলোতে জোয়ারের তীব্রতা রয়েছে। একইভাবে ভোলার তেঁতুলিয়া, চাঁদপুরের ডাকাতিয়া, পটুয়াখালীর আগুনমুখা, পিরোজপুরের সন্ধ্যা, বরগুনার বলেশ্বর নদীতে জোয়ারের তীব্রতা রয়েছে।
বরিশালের জেলে রুস্তুম আলী, পিরোজপুরের পাড়ের হাটের জেলে জয়নাল মিয়া, ভোলার জেলে আকাব্বর হোসেন জানান, সাগরে এখনও প্রচুর ইলিশ মাছ রয়েছে। এগুলো অবশ্যই নদীতে আসবে। তবে সাগর উত্তাল থাকার কারণে মাছ মধ্যসাগরে ফিরে গেছে। সেখানে এখন কোনও জেলে নেই। ফলে ইলিশ ধরা পড়ছে না। লঘুচাপ কেটে গেলেই সাগর শান্ত হয়ে আসবে। তখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের ইলিশের পাইকারি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাজধানীর বাজারগুলোয় এখনও সাগরের ইলিশে ভরপুর। নদীর ইলিশ এখনও তেমনটা রাজধানীতে আসছে না। ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর বা বরগুনার আশপাশের নদীগুলোয় যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে তা নদীর তীরবর্তী জেলা বা উপজেলার বাজারগুলোয় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, সাগরের লঘুচাপ কেটে গেলে মধ্যসাগর থেকে ইলিশের ঝাঁক সাগর তীরবর্তী নদীতে আসবে। কারণ, তখন ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় হয়ে আসবে। তখন ডিমওয়ালা ইলিশ বাজারেও আসবে বলে জানান তিনি।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৪শ টাকায়। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে এমন সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, সাগরে আবার ইলিশ ধরা পড়া শুরু হলেও দাম আর কমবে বলে মনে হয় না। সেপ্টেম্বরের এই কয়টা দিন অবাধে ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা করা যাবে। কারণ, ৯ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই ২৩ দিন সাগর বা নদী কোথাও ইলিশ ধরা যাবে না। এই সময়টা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। ইলিশের প্রজনন বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ। আমরা এ হার বাড়াতে চাই। আমরা গত কয়েক বছর ধরে বছরে ৫ লাখ টনের বেশি ইলিশ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। এই পরিমাণ আরও বাড়াতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে যতদিন জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না ততদিন তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারি কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবার মাসে পাবে ৪০ কেজি করে চাল। জেলেদের দেওয়া প্রণোদনায় যাতে অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে বলে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এরই মধ্যে কক্সবাজারের ফিশারিঘাটে ইলিশের সরবরাহ কমেছে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রাজধানীর বাজারগুলোতেও। এ অবস্থায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে দেড় থেকে ২০০ টাকা।
আবহাওয়া দফতরের পরিচালক মো. সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে হালকা ও মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সাগরে মাছ ধরার নৌকা বা ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ সাগরের কূলবর্তী জেলা কক্সবাজার থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হলেও এসব অঞ্চলের নদীগুলোতে জোয়ারের তীব্রতা রয়েছে। একইভাবে ভোলার তেঁতুলিয়া, চাঁদপুরের ডাকাতিয়া, পটুয়াখালীর আগুনমুখা, পিরোজপুরের সন্ধ্যা, বরগুনার বলেশ্বর নদীতে জোয়ারের তীব্রতা রয়েছে।
বরিশালের জেলে রুস্তুম আলী, পিরোজপুরের পাড়ের হাটের জেলে জয়নাল মিয়া, ভোলার জেলে আকাব্বর হোসেন জানান, সাগরে এখনও প্রচুর ইলিশ মাছ রয়েছে। এগুলো অবশ্যই নদীতে আসবে। তবে সাগর উত্তাল থাকার কারণে মাছ মধ্যসাগরে ফিরে গেছে। সেখানে এখন কোনও জেলে নেই। ফলে ইলিশ ধরা পড়ছে না। লঘুচাপ কেটে গেলেই সাগর শান্ত হয়ে আসবে। তখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের ইলিশের পাইকারি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন বলেন, রাজধানীর বাজারগুলোয় এখনও সাগরের ইলিশে ভরপুর। নদীর ইলিশ এখনও তেমনটা রাজধানীতে আসছে না। ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর বা বরগুনার আশপাশের নদীগুলোয় যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে তা নদীর তীরবর্তী জেলা বা উপজেলার বাজারগুলোয় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি জানান, সাগরের লঘুচাপ কেটে গেলে মধ্যসাগর থেকে ইলিশের ঝাঁক সাগর তীরবর্তী নদীতে আসবে। কারণ, তখন ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় হয়ে আসবে। তখন ডিমওয়ালা ইলিশ বাজারেও আসবে বলে জানান তিনি।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বর্তমানে বাজারে এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ থেকে ১৪শ টাকায়। অথচ গত এক সপ্তাহ আগে এমন সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকায়। বর্তমানে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকায়। আর ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, সাগরে আবার ইলিশ ধরা পড়া শুরু হলেও দাম আর কমবে বলে মনে হয় না। সেপ্টেম্বরের এই কয়টা দিন অবাধে ইলিশ ধরা ও কেনাবেচা করা যাবে। কারণ, ৯ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এই ২৩ দিন সাগর বা নদী কোথাও ইলিশ ধরা যাবে না। এই সময়টা ইলিশের ডিম ছাড়ার সময়। ইলিশের প্রজনন বাড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জিডিপিতে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ। আমরা এ হার বাড়াতে চাই। আমরা গত কয়েক বছর ধরে বছরে ৫ লাখ টনের বেশি ইলিশ উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। এই পরিমাণ আরও বাড়াতে চাই।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে যতদিন জেলেরা মাছ ধরতে পারবে না ততদিন তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারি কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবার মাসে পাবে ৪০ কেজি করে চাল। জেলেদের দেওয়া প্রণোদনায় যাতে অনিয়ম না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে বলে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।