আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঠাকুরমার ঝুলির ‘সাত ভাই চম্পা’র কথা মনে আছে? ওই যে সাত ভাই চম্পা আর তাদের একটি মাত্র বোন পারুল। নি:সন্তান ছয় রানীর কুচক্রের শিকার হন সপ্তম রানী। তার সাত সন্তানকে পুঁতে ফেলে মাটিতে। কিন্তু তারা মরে যায়নি, ফুল হয়ে বেঁচে থাকে। পরে মায়ের কোলে ফিরে মানবরূপ ধারণ করে। এই রূপকথার গল্পটা বলার কারণ এক স্কটিশ দম্পতি। তাদের ১১ সন্তান। এদের মধ্যে ১০ জন ছেলে আর একজন কন্যা। বলা যায়, দশ ভাই চম্পা আর একটি পারুল।
এই পারুলের বয়স মাত্র ১৩ দিন। নাম ক্যামরুন।
হ্যাঁ, ১০টি ছেলে সন্তানের পর জন্ম নিয়েছে এই ফুটফুটে পারুল। তার মা-বাবা ভেবেছিলেন, এইবারও হয়ত তাদের ছেলে সন্তান হবে। কিন্তু যখন জানতে পারলেন তাদের কন্যা সন্তান পৃথিবীতে আসতে যাচ্ছেন, তখন তাদের খুশির কোনো সীমা ছিল না
মা অ্যালেক্সিস (৩৯) বলেন, ‘আমাদের মনে হলো, আকাশের চাঁদ হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। সব সময়ের মতো ভেবেছি, আমার ছেলে সন্তান হওয়ার কথাই শুনব। কিন্তু যখন শুনলাম, আমার কন্যা সন্তান হতে যাচ্ছে, আমার এক্সপ্রেশন দেখার মতো ছিল। এখন ও আমাদের সাথেই আছে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
আর বাবা ডেভিড ব্রেট (৪৪) বলেন, ‘বোনের জন্মের অনেক বড় প্রভাব পড়েছে ভাইদের ওপরে। তারা এখন অনেকটা চুপচাপ থাকে, যাতে তাদের বোনটি জেগে না যায়। শুধু তা-ই নয়, তারা বোনকে কোলে নিতে চায়, খাওয়ানোতেও সাহায্য করতে চায়।’
অ্যালেক্সিস যখন প্রথম মা হন তার বয়স ছিল ২২ বছর। ভেবেছিলেন, দ্বিতীয় সন্তানটি মেয়ে হবে। কিন্তু তা আর হয়নি। কন্যার জন্য তাদের ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন কী পরিকল্পনা তাদের?
জবাবে হেসে উঠেন অ্যালেক্সিস। বলেন, ‘না, আর নয়। আমার পরিবার এখন যেমন আছে, তেমনই আমি খুশি।’
ডেইলি মেইল