শনিবার সকাল আটটার দিকে বিমানবন্দরের বহিরাঙ্গনের দুই নং ক্যানোপি এলাকা থেকে ধরা হয় এদেরকে। তারা হলেন: শাহরিয়ার হোসেন প্রিন্স, সুজন ও রফিকুল ইসলাম।
জব্দ করা ফোনগুলো হলো আইফোন, স্যামসাং, ওয়ান প্লাস, শাওমি, নোকিয়া ব্রান্ডের। এই ফোনের আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সকালে চীনের গুয়াংজু থেকে ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস থ্রিটুসিক্স ঢাকায় নামে। এসময় সন্দেহভাজন তিন জনকে আটক করে বিমানবন্দরের বহিরাঙ্গনের দুইনং ক্যানোপি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মোবাইল ফোন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিন জন একেকবার একক রকম কথা বলছিলেন। তবে পরে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আটক সুজনের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। শাহরিয়ার হোসেন প্রিন্সের বাড়ি ঢাকার ডেমরায় এবং রফিকুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকায়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিন জন জানান, এই মোবাইল ফোন বাংলাদেশ ও ভারতে বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। ভারতীয় নাগরিক রাজেশের মাধ্যমে একটি অংশ ভারতে পাচার করা হতো। সুজন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চোরাকাররে জড়িত বলেও জানিয়েছে আর্মড পুলিশ।
চলতি অর্থবছর থেকে স্মার্টফোন আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। আগের বছরের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি আরোপ করে শতকরা ৩০ শতাংশ শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষার কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এতে চোরাচালার বাড়ার আশঙ্কার কথা আমদানিকারকরা আগেই বলেছিলেন।