গেল? এর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছে ‘টেক ক্রাঞ্চ’। তাদের দাবি, ফেসবুক তাদের গ্রাহকদের ফোন নম্বর যে সার্ভারে মজুত রাখে, তা একেবারেই সুরক্ষিত নয়। ফলে সেই সার্ভারের পাসওয়ার্ড খুব সহজেই হ্যাক করা যায় এবং এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে।
এই ফাঁক থাকার কথা ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, ওই ডেটাবেসে একই নম্বর একাধিক বার ছিল। তাই সংখ্যাটা এত বিপুল মনে হচ্ছে। আদতে তা ২০ কোটির বেশি নয় বলেই দাবি তাদের।
কিন্তু তাই বা হবে কেন? কেমব্রিজ অ্যানালাইটিকা কাণ্ডের সময় থেকেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, ফেসবুক থেকে তথ্য হাতিয়েই মার্কিন ভোটে হস্তক্ষেপ করছিল মস্কো। এই ফোন নম্বর ফাঁসের ঘটনাটিও অনেক আগেকার বলে দাবি ফেসবুকের। যখন ফোন নম্বর গিয়ে আইডি খোঁজার ফিচার ছিল ফেসবুকে। ২০১৮ সালে ওই তথ্য ফাঁসের ঘটনা সামনে আসার পরই এই ফিচার বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।
ফেসবুকের দাবি, এই ফিচার কাজে লাগিয়েই ডেটাবেস থেকে ফোন নম্বর সরানো হয়েছিল। সেই সব নম্বরের বেশির ভাগের এখন অস্তিত্ব নেই।
এক জনের ফোন নম্বর বেহাত হয়ে গেলে কী ভাবে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টসহ নানাবিধ অ্যাকাউন্ট বেহাত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।