একই সঙ্গে হটলাইন চালু করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াই দ্রুত অর্থ বরাদ্দ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হটলাইন চালুর বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে আগামী ১৫ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালত শুনানির শুরুতে কল সেন্টার বিশেষজ্ঞ রাফসানজানি সামির কাছে হটলাইন চালুর খরচের বিষয়ে জানতে চান।
সামি আদালতকে বলেন, ‘আউট সোর্সিং এর মাধ্যমে হটলাইন চালু করতে মাসে সর্বসাকুল্যে ৫ লাখ টাকা দিতে হবে।’
এ পর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শামীম আল মামুন বলেন, ‘আমরা স্বাধীন কল সেন্টার স্থাপন করে হটলাইন চালু করতে চেয়েছি। এটা করতে খরচ বেশি লাগে।’
তখন আদালত পরিচালককে বলেন, আপনারা ৫ জন মানুষ মিটিং এ বসলেন। অথচ আউট সোর্সিং এর বিষয় মাথায় এলো না। এটা কেমন কথা। এ সময় শামীম আল মামুন আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন।’
এর আগে গত ২০ আগস্ট ভোক্তাদের জরুরি অভিযোগ শুনতে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে শামীম আল মামুনকে তলব করেন হাইকোর্ট।
ওই দিন আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তাদের আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি। তিনি বলেন, ‘হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকার বাজেট চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তা এখনও পায়নি।
তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘হটলাইন চালু করতে এত টাকা লাগবে? তাহলে তো এর ব্যাখ্যা জানা দরকার। তখন আদালত সংস্থাটির পরিচালককে তলব করেন।’
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।
গত ১৬ জুন ভোক্তাদের খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন সেবা নিয়ে অভিযোগ শুনতে এবং অভিযোগ অনুসারে ব্যবস্থা নিতে দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন সেবা চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন আদালত।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া নামিদামি কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের (সাব-স্ট্যান্ডার্ড) পণ্য বাজার থেকে সরাতে করা এক রিটের শুনানিতে এ আদেশ দেয়া হয়।