ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়। শনিবার ভোরের ওই ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বখাটের ছুরিকাঘাতে নিহত হাসানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায়। আর গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল হোসেনের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতো বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভোরে সদর উপজেলার ওই বাড়িতে ঢুকে বাড়ির মালিকের নাতনিতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আকবর আলী। স্কুলছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা প্রতিরোধ করতে গেলে আকবর এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই ছাত্রীর মামা হাসান। গুরুতর আহত হন ওই স্কুলছাত্রী ও তার নানা।
গ্রামবাসী টের পেয়ে ধাওয়া করে আকবর আলীকে আটক করে। পরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো. কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা আহত গৃহকর্তা ও তার স্কুলপড়–য়া নাতনীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল আটটার দিকে হাসান ও আকবরের লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু এহসান মো. ওয়াহেদ রাজু জানান, ছুরিকাঘাতের কারণে আহত গৃহকর্তার শরীরে অসংখ্যা ক্ষত হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া আহত স্কুলছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার জানান, ধর্ষণচেষ্টাকারী আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিল। ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে সবজি বিক্রির ব্যবসা করলেও তার স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল। এর আগেও সে এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, গণপিটুনিতে নিহত আকবরের স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল। স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের জন্যই মূলত সে ওই বাড়িতে হানা দেয়। স্থানীয় গ্রামবাসী এমনটিই তথ্য দিচ্ছেন। আমরা প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানে কাজ করছি।