আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতিবিদ্যার অবিস্মরণীয় নিউটনের তৃতীয় সূত্রে ভুল বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে দাবি করেছেন ভারতের হিমাচল প্রদেশের বিজ্ঞানী অজয় শর্মা।
৩৩৩ বছর ধরে চলমান (প্রমাণিত) নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রটি হলো, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
তবে ভারতীয় এই বিজ্ঞানী সূত্রটিতে সংস্কার আনতে চাইছেন। তার মতে, বস্তু ভর, আকার ও ওজন ভেদে এ প্রতিক্রিয়া সমান, কম বা বেশিও হতে পারে।
এ কথা জানিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন না তিনি, বিষয়টি প্রমাণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চাইছেন অজয় শর্মা।
অজয় শর্মা এ দাবি জানিয়েছিলেন ১৯৯৯ সালেই। সে সময় জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে অজয় শর্মা দাবি করেন, তাত্ত্বিকভাবে নিউটনের তৃতীয় সূত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রত্যেক ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া শুধু সমান নয়, কম বা বেশিও হতে পারে।
তিনি জানালেন, দাবিটি পরীক্ষাগারে প্রমাণ করতে কিছু গবেষণার প্রয়োজন। সে জন্য বেশ পরিমানে টাকার দরকার তার।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক স্টেটসম্যান জানায়, এ বিষয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন অজয় শর্মা।
সেখানে তিনি বলেন, ৩৩৩ বছরের পুরনো নিউটনের তৃতীয় সূত্রটির পরীক্ষামূলক সংস্কার করা সম্ভব। বিষয়টি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণের জন্য দেশি ও বিদেশি খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা বলেছেন। সে পরীক্ষাটি করতে আমার ১০ থেকে ১২ লাখ রুপি খরচ হবে।
এর পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ওই টাকা অনুদান হিসেবে চান অজয় শর্মা।
অজয় শর্মা বলেন, সরকার আমার ওপর আস্থা রাখতে পারে। আমি জীবনের ৩৬ বছর নিউটন, আইনস্টাইন আর আর্কিমিডিসের কাজের ওপর গবেষণা করে কাটিয়ে দিয়েছি।
অজয়ের মতে, বস্তু গোলাকার, অর্ধবৃত্তাকার, ত্রিভূজাকার, পাইপের মত লম্বা, কোনাকৃতি, সমতল বা অসম আকারের হলেও নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুয়ায়ী এর প্রতিক্রিয়া সমানভাবেই বিবেচনা করা হয়েছে।
কিন্ত তার দাবি, প্রতিক্রিয়া অবশ্যই বস্তুর আকারের সাপেক্ষে কম, বেশি বা সমান হতে পারে।
এদিকে গত জুলাইয়ে নিউটনের তৃতীয় সূত্রের ব্যাপার নিজের এই তাত্ত্বিক বিষয়টি ভারতের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষবর্ধন অজয়ের এই গবেষণার প্রস্তাব দিল্লির কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের মহাপরিচালকের কাছে পাঠান।
কিন্তু সেখান থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাননি হিমাচলের এই বিজ্ঞানী।
অজয় শর্মা বর্তমানে হিমাচলের শিমলায় উপশিক্ষা কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত।