দেশজনতা অনলাইন: পরিবেশ দূষণ রোধে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই দেশের মানুষ বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিরোধ অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, পরিবেশ দূষণ রোধে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতি ও অবহেলার কারণেই দেশের মানুষ বিশেষ করে শহরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। খাদ্য দূষণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা, নগর পরিচ্ছন্নতা, পানি দূষণ, শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণের সমন্বিত নেতিবাচক ফলাফল হচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। পরিবেশ দূষণ রোধ করা যাদের দায়িত্ব তাদের মধ্যে কতিপয় কর্মচারীর দুর্নীতির কারণে এ দেশের মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে মর্মে কমিশনে অভিযোগ আসছে।
তিনি বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে যেমন নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, তেমনি বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণেও ভূমিকা রাখছে। কীভাবে লাইসেন্সবিহীন চালক অথবা ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে চলাচল করছে? সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা কঠিন। তাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদক বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করবে। প্রয়োজনে এসব কার্যক্রম কমিশনের গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হবে।
ঢাকাসহ সকল মেট্রোপলিটন শহরসমূহের পরিবেশ দূষণ (যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ) প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহের সাথে তাদের কার্যপ্রক্রিয়ায় বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি,অবহেলা, হয়রানি ইত্যাদি নিরসনে দুর্নীতি দমন কমিশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথমেই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে নিয়োজিত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তা-ব্যক্তিদের সাথে এসব বিষয় নিয়ে বিশেষ মতবিনিময় সভা করবে কমিশন।
আলোচনার মাধ্যমে অংশীজনদের মতামতের আলোকে এসব ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন এবং নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর ব্যবস্থাগ্রহণ করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।