২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৭:১৯

যানবাহনে বাড়তি ভাড়া আদায় চলছেই

 চট্টগ্রাম থেকে প্রতিনিধি : ঈদ শেষ হয়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। কিন্তু ঈদ শেষ হচ্ছে না পরিবহন মালিক শ্রমিকদের। ঈদের অজুহাতে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় থামছেই না। ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী আন্তঃজেলা পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ৫টি বাসকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হকের নেতৃত্বে নগরীর কর্ণেলহাট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।

অভিযান ও জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করে ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হক জানান, ঈদ শেষ হলেও বিভিন্ন পরিবহন যাত্রীদের কাছ থেকে ঈদের অজুহাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। যাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রামের কর্ণেলহাটসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে সোনাপুর থেকে চট্টগ্রামগামী বাঁধন পরিবহন এর ২টি বাস, মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে চট্টগ্রামগামী শাহী এক্সপ্রেস এর ১টি বাস এবং দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামগামী দাউদকান্দি এক্সপ্রেস এর ১টি বাসকে ২০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া নগরীর ১০ নম্বর রুটের একটি বাসকে ফিটনেস না থাকায় জরিমানা করা হয় ১০ হাজার টাকা।

ম্যাজিস্ট্রেট মনজুরুল হক  আরো জানান, ঈদের আগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের সাথে হওয়া বৈঠকে আন্তঃজেলা বাস-মালিক সমিতি কথা দিয়েছিলো তারা সরকার-নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া নেবে না। কেউ নিলে অভিযুক্ত পরিবহনের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাদের আপত্তি থাকবে না। তাদের এই প্রতিশ্রুতিকে প্রশাসন স্বাগত জানিয়েছিলো।

কিন্তু অনেক বাস মালিক তাদের এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। ঈদের প্রায় ১ সপ্তাহ পরেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, অনেক পরিবহন বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। চলমান অভিযানে গতকালও বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসকে ১ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ দ্বিতীয় দিনের অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ম্যাজিস্ট্রেট জানান।

প্রকাশ :আগস্ট ১৯, ২০১৯ ১২:৫২ অপরাহ্ণ