রবিবার দুপুরে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান তদন্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম। পরে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
এদিকে ভিকটিম ওই ছাত্রীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শনিবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে রিলিজ করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের ছেলে শিঞ্জন রায়। ওই ছাত্রীকে ভাড়া বাসায় এবং আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবের বাসায় নিয়ে শিঞ্জন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করতেন। এরপর ওই ছাত্রী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। শিঞ্জন তাকে বিয়ে করবেন বলে নানাভাবে আশ্বস্তও করেন। এ অবস্থায় শিঞ্জন গত ১৪ আগস্ট অন্যত্র বিয়ে করেন। ১৬ আগস্ট নগরীর হোটেল সিটি ইনে পূর্ব নির্ধারিত বৌ-ভাত অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত ছিল।
এদিকে বিয়ের খবর ওই ছাত্রীর কানে পৌঁছালে তিনি শিঞ্জনের খোঁজে গত ১৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে মুজগুন্নী আবাসিকের ১৬ নম্বর রোডে যান। সেখানে গিয়ে শিঞ্জন রায়ের দেখা পান। এ সময় তার বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাকে সেখান থেকে জোর করে তুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের বিষয়টি নজরে আসে। এরপর বিষয়টি থানা পুলিশের কাছে গেলে তারা দু’জনকেই সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ১৫ আগস্ট সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই ছাত্রীকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। ১৬ আগস্ট সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে শিঞ্জন রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২০)।