চোট গুরুতর না-হলেও ঝুঁকি নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবেক অসি অধিনায়ক; কিন্তু লজ্জার সাক্ষী থাকল ক্রিকেট তীর্থভুমি। বাউন্সারের আঘাতে যখন স্মিথ মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন।
অস্ট্রেলিয়া দলের চিকিৎসক এবং ইংল্যান্ডের অন্য ক্রিকেটাররা যখন সহানুভূতি দেখিয়ে তার পাশে দাঁড়িয়ে, ঠিক তখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান জোস বাটলারের সঙ্গে হাসছিলেন আর্চার। এ অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ মাটিতে শুয়ে ছিলেন স্মিথ। পরে অসি দলের চিকিৎসক রিচার্ড শ’-এর সঙ্গে মাঠ ছাড়েন এই অসি ব্যাটসম্যান।
এই দৃশ্য দেখার পর নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত বছর চব্বিশের ইংলিশ পেসার। বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে জায়গা করে নেন আর্চার। লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হলো তার। অভিষেকেই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিলেন তিনি। এর আগেও তার বাউন্সারে আর্মে আঘাত পেয়েছিলেন স্মিথ।
মাঠ ছাড়ার আগে অবশ্য অ্যাশেজে ইতিহাস গড়েন স্মিথ। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অ্যাশেজে টানা সাতটি হাফ সেঞ্চুরি বা তার বেশি স্কোর গড়লেন তিনি। মাঠ ছাড়ার আগে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি এই অসি ব্যাটসম্যান।
পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে ফের মাঠে নামেন তিনি। তবে মাত্র আট রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন। ক্রিস ওয়কসের বলে ব্যক্তিগত ৯২ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন স্মিথ।
বৃষ্টিবিঘ্নতি লর্ডস টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২৫৮ রানের জবাবে ২৫০ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। অর্থাৎ ৮ রানে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে অসিরা। তবে ১০২ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর স্মিথের ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ে ফেরে অস্ট্রেলিয়া।এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই স্বপ্নের ফর্মে দেখা যাচ্ছে স্মিথকে। এজবাস্টনে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসই সেঞ্চুরি করেন। স্মিথের ১৪৪ ও ১৪২ রানে ভর করে এজবাস্টন টেস্ট ২৫১ রান ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।