শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি)-এ ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে শিশুটি একা পুকুরে গোসল করতে যায়। একই গ্রামের বসবাসরত ইমাম হাসান আহমদ শিশুটিকে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে হাসান তাকে একটি পেয়ারা হাতে দিয়ে ঘটনাটি কাউকে জানাতে নিষেধ করেন।
শিশুটি বাসায় ফিরে তার মাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এরপর তার বাবা রাতেই মেয়েকে সঙ্গে হাফিজ হাসান আহমদের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানান।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমাম হাসান আহমদকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।’
সম্প্রতি এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ আগস্ট নীলফামারীর সৈয়দপুরে জিন তাড়ানোর নামে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমামকে সাকিব আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি মসজিদের ইমাম ফজলুর রহমান ওরফে রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন চার জন সঙ্গীসহ। তিনি একটি শিশুকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২২ জুলাই ঢাকায় দক্ষিণখানের একটি মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনিও জ্বিনের ভয় দেখিয়ে একাধিক নারী ও ১০টির মতো ছেলে শিশুকে ধর্ষণ করেছেন বলে প্রমাণ মিলেছে।