এ বিষয়ে হাসিনা আক্তার বলেন, ‘জমির মালিক আমার বড় ছেলে আবুল কালাম আজাদ। তার কাছ থেকে জমি কেনার দেনাপাওনা সমাধান না করার কারণে আজাদ বাদী হয়ে মুরাদের নামে আদালতে মামলা দায়ের করে। এ অবস্থায় আমেরিকা থেকে সম্প্রতি খুলনায় এসে মুরাদ জমি বিক্রি করার চেষ্টা করে। সফল হতে না পেরে অন্য একজনের সঙ্গে জমি বিক্রির বায়না করার নামে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রদান করে। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার অফিস তদন্ত না করেই ওই দলিলটি গ্রহণ করায় বিপত্তি সৃষ্টি হয়েছে। ওই দলিলে আমি জীবিত থাকলেও আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে। এটা কী ধরনের কাজ?’
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাব রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিল তৈরির সময় তদন্ত করে দেখার নিয়ম রয়েছে। বায়না দলিল করার ক্ষেত্রে তদন্ত করা হলে এ দলিলটি করা অসম্ভব হতো। কারণ তদন্তে আসলেই তারা জমিটি নিয়ে চলমান মামলা সম্পর্কে জানতে পারতেন। একইসঙ্গে আমাদের মা হাসিনা আক্তার যে জীবিত তাও তারা দেখতে পারতেন। তাহলে আমিও এভাবে হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে পড়ে থাকতাম না।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘হামলার শিকার আবুল কালাম থানায় এসেছিলেন। তাকে চিকিৎসা গ্রহণের পর অভিযোগ নিয়ে আসতে বলেছি। কারণ তার অবস্থা তখন ভালো ছিল না। অভিযোগ পাওয়ারই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে।’
দৌলতপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সাব রেজিস্ট্রার মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দলিলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি এসে আবেদন করলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।’ এ দলিলটি করার ক্ষেত্রে তদন্ত না করা প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।