২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ২:৪৭

হেফাজতে ‘ধর্ষণ’: খুলনার সেই ওসি-এসআই প্রত্যাহার

খুলনা জিআরপি থানা হাজতে নারী আসামিকে পাঁচ পুলিশ মিলে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে ওসি উসমান গনি পাঠান এবং এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক নারীকে সংঘবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

ওই নারীর অভিযোগ, সেদিন যশোর থেকে ট্রেনে আসার সময় ফুলতলা এলাকায় জিআরপি পুলিশ প্রথমে তাকে মোবাইল চুরির অপরাধে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গণি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও চারজন পুলিশ সদস্য একে একে ধর্ষণ করেন।

পরদিন ৩ আগস্ট ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ মামলা দিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতে বিচারকের সামনে নেওয়ার পর সেই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ দেন।

আদালতের নির্দেশের পর সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা শেষে ওই নারীকে আদালতে পাঠানো হয়।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ফিরোজ আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ ম কামাল হোসেইন এবং দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।

প্রকাশ :আগস্ট ৭, ২০১৯ ১:৪০ অপরাহ্ণ