২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:২৩

নিখোঁজ সাংবাদিক মুশফিক সুনামগঞ্জে উদ্ধার

ঢাকার গুলশান থেকে অপহৃত বেসরকারি মোহনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুশফিকুর রহমানকে সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সদরের গোবিন্দপুর এলাকায় একটি মসজিদের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।

সুনামগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম জানান, ভোরে মসজিদের সামনে মুশফিককে পড়ে থাকতে দেখে মসজিদের ইমাম স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা পকেটে পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসআই জিন্নাতুল জানান, মুশফিকের শার্ট-গেঞ্জি ছেঁড়া দেখা গেছে এবং মারধর করার কিছু আলামত দেখা গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে কেউ অপহরণ করে আনার পর এখানে ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, আমরা ঢাকায় তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঢাকা থেকে লোকজন আসছেন। তারা এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মুশফিকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার চরবোয়ালী ফকির বাড়ি’।

গত ৩ আগস্ট বিকালে মুশফিকুর রহমান গুলশান থেকে মিরপুরের  বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ হন। সোমবার তাকে উদ্ধারের দাবিতে সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন গণমাধ্যমের কর্মীরা।

সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান জানান, গত ৩ আগস্ট গুলশান গোল চত্বরের একটি হোটেলে তার মামার সঙ্গে নাস্তা খান। এরপর মিরপুরে নিজের বাসায় যাওয়ার জন্য বাসে ওঠেন। কিন্তু বাসে ওঠার পর তিনি বুঝতে পারেন যে, বাসটি মিরপুরের নয়। এক পর্যায়ে বাসের লোকজন তার মুখে পানি জাতীয় কিছু স্প্রে করে। এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি। জ্ঞান ফিরলে মুশফিক বুঝতে পারেন, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা তাকে অনেক মারপিট করেছে। মারপিটের একপর্যায়ে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেয়। পানি খেতে চাইলে অপহরণকারীরা তাকে পানি খেতে দেয়নি। গত কয়েক দিনে তাকে কেক ও পেয়ারা খেতে দেওয়া হয়েছে’।

তিনি সুনামগঞ্জে কীভাবে এলেন এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি। গাড়ি থেকে নামানোর পর তাকে বলা হয়েছে দৌড় দিতে। এরপর তিনি দৌড়াতে থাকেন। মুশফিক বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। কেন কারা এটা করেছে আমি বুঝতে পারছি না।’

প্রকাশ :আগস্ট ৬, ২০১৯ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ