রাব্বির বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মোজাফফর হোসেন। রাব্বি রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, ভোর ছয়টার দিকে খবর পেয়ে রাব্বির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মাথার ওপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। বাড়ি যাওয়ার জন্য খুব ভোরের ট্রেন ধরতে স্টেশনের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন রাব্বি। পথেই হত্যাকা-ের শিকার হন।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই রাব্বির লাগেজ, মানিব্যাগ ও মুঠোফোন পড়ে ছিল। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে আঘাত করা হলে এগুলো নিয়ে চলে যাওয়া হতো। কিন্তু কিছুই না নিয়ে যাওয়ার কারণে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাব্বিকে খুন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।
পুলিশ জানায়, রাব্বির বাড়ি যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন পরিবারকে। ভোরে ছাত্রাবাস থেকে বের হওয়ার সময়ও বোনের সঙ্গে তার কথা হয়। এর কয়েক মিনিট পরেই এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা সদস্যরা বারবার ফোন করলেও তাকে পাননি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া তার ফোন থেকেই রাব্বির পরিবারের সঙ্গে কথা হয় পুলিশের। পুলিশের কাছেই তারা জানতে পারে, রাব্বি হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, রাব্বির হত্যাকা-ের ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। রাব্বির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী এসে পৌঁছানোর পর থানায় মামলা হবে।