তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ নিতে তিন দিন আগে নাজমুল হক দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন। যাওয়ার আগে জয়পুরহাটে শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে রেখে যান। সেখানে যাওয়ার পর তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আমাদের জয়পুরহাট প্রতিনিধির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শাপলার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম উজ্জল জানান, কয়েক মাস থাকবেন বলে তার ছোট বোন শাপলা মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জয়পুরহাট আসে। জ্বর থাকায় শুক্রবার (২ আগস্ট) তাকে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার বোন মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘শাপলা তেজগাঁও আবহাওয়া অফিসের কলোনিতে স্বামীর সঙ্গে থাকতো। তার স্বামী শুক্রবার সাত মাসের প্রশিক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়া গেছেন। এই সাত মাস জয়পুরহাটে থাকার জন্য শাপলা একটি বাসাও ভাড়া নিয়েছিল।’