২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১:৩১

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৩ মাস নিষিদ্ধ মেসি

দেশজনতা অনলাইন : বড় শাস্তিরই আভাস ছিল। হলোও তাই। লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে তিন মাস নিষিদ্ধ হলেন লিওনেল মেসি। অর্থাৎ, সামনের তিন মাস আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না এই ফরোয়ার্ড।

গত মাসের কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলির বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের জয়ের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেন মেসি। ম্যাচ শেষে নিজের সব রাগ উগরে দিয়ে ‍আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘ব্রাজিলের জন্য কোপা আমেরিকার কাপটা ‍আগেই ঠিক করা আছে।’ শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতেই উঠেছে শিরোপা।

কোপা আমেরিকার আয়োজক কনমেবল স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। সংস্থাটি থেকে কঠোর শাস্তিরই ইঙ্গিত ছিল। শনিবার লাতিন আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা মেসিকে তিন মাস নিষিদ্ধ করার সঙ্গে ৫০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে। এই শাস্তির বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন ও আপিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় পাচ্ছেন মেসি।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ হওয়ায় মেসি আর্জেন্টিনার জার্সিতে খেলতে পারলেন না সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের প্রীতি ম্যাচগুলোতে। সামনের দুই মাসে আলবিসেলেস্তেরা মুখোমুখি হবে চিলি, মেক্সিকো ও জার্মানির বিপক্ষে। অবশ্য ২০২২ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরু থেকেই খেলতে পারবেন বার্সেলোনা তারকা। আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার মিশন শুরু হবে ২০২০ সালের মার্চে।

গত কোপা আমেরিকায় মেসির সময়টা একেবারেই ভালো কাটেনি। আর্জেন্টিনার তৃতীয় হওয়ার পথে মাত্র একবার লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছিলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার শুরুটা হয়েছিল বাজে। দলের খারাপ অবস্থার মধ্যে মাঠ ও রেফারি নিয়ে প্রায় প্রতি ম্যাচেই আয়োজকদের সমালোচনা করেছেন মেসি।

ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ‍২-০ গোলে হেরে শিরোপা স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে হারের পর রেফারিংকে ধুয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। তবে সবকিছুকে ছাড়িয়ে যায় ‍তার পরের ম্যাচেই চিলির বিপক্ষে স্থান নির্ধারণী খেলায়। ৩৭ মিনিটে চিলির গারি মেদেলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিকে। মেদেলও দেখেন লাল কার্ড।

ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ মেসি রেফারিংয়ের সঙ্গে কঠোর সমালোচনা করেন কনমেবলের, বলেছিলেন, ‘এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনোভাবেই আমাদের থাকা উচিত নয়। তারা (কনমেবল) গোটা টুর্নামেন্টেই অসম্মান দেখিয়েছে। দুঃখ হলেও সত্যি, দুর্নীতি ও রেফারি মিলিতভাবে লোকজনদের ফুটবল উপভোগ করতে দেয়নি।’ বিবিসি

প্রকাশ :আগস্ট ৩, ২০১৯ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ