কূটনৈতিক প্রতিবেদক : রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের আগে যাচাইয়ের জন্য ২৫ হাজার রোহিঙ্গার নতুন একটি তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গার নামের তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মিন্ট থোর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক দীর্ঘ বৈঠক শেষে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মিয়ানমার পক্ষ বলেছে যে তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার জন্য বোঝাচ্ছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরে তাদের আলোচনার সময় তারা ফেরার অনুরোধ জানালে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা হাসছিলেন।
কামরুল আহসান বলেন, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরে যাওয়ার জন্য আস্থা তৈরি করা দরকার। এজন্য মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের প্রথম সফর হলো। তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের সমস্যার কথা শুনেছে।
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এক সফরে সব সমস্যার সমাধান হবে না। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের হয়তো আরও বেশ কয়েকবার আসতে হবে।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আস্থা সৃষ্টি করা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে না। বাংলাদেশ কাউকে জোর করে পাঠাবে না।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, আমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিতে রাজি আছি। এজন্য কী কী করা হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর চুক্তি সই করে। পরে দুই দেশ ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ চুক্তি করে।
‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, প্রত্যাবাসন শুরুর দুই বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের ফেরার কথা ছিল গত বছরের ১৫ নভেম্বর। কিন্তু রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ না থাকায় রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।