স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে এবারের ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী আন্তঃনগর সব ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলছে। বিক্রি হচ্ছে আগামী ৭ আগস্টের ট্রেনের টিকিট।
সকালে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি নারী কাউন্টারসহ ৯টি কাউন্টারে একযোগে টিকিট বিক্রি চলছে। যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনছেন। প্রতিটি লাইন দীর্ঘ আকার ধারণ করেছে। তবে এবছর কমলাপুর ছাড়াও আরও চারটি স্থান থেকে টিকিট বিক্রি হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় কমলাপুরে ভিড় কিছুটা কম।
নারীদের জন্য মাত্র একটি কাউন্টার থাকায় তাদের বেশি ভোগান্তি হচ্ছে। খিলগাঁও থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে আসা সাবরিনা আক্তার বলেন, ‘ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু এখনও টিকিট পাইনি। কাউন্টার আরও বেশি হলে ভালো হতো।’
রেল কর্তৃপক্ষ ১২ আগস্টকে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ধরে টিকিট বিক্রি করছে। আজ ২৯ জুলাই দেওয়া হচ্ছে ৭ আগস্টের টিকিট। ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট দেওয়া হবে ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট বিক্রি হবে ১১ আগস্টের টিকিট।’
রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলবে বিমানবন্দর স্টেশনে। রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে বনানী স্টেশন থেকে। পুরুলিয়ার পুরনো বিল্ডিং থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে।
টিকিটের ৫০ শতাংশ বিক্রি হচ্ছে কাউন্টার থেকে, বাকি ৫০ শতাংশ মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বলেন, ‘সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনে আটটি পুরুষ এবং একটি নারী কাউন্টার মিলিয়ে মোট ৯টি কাউন্টার থেকে অগ্রিম টিকিট নিতে পারবেন যাত্রীরা। কমলাপুর স্টেশন থেকে পশ্চিমাঞ্চলের ১৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে।’