লাইফস্টাইল: চিনি আছে ভেবে আখের রস থেকে দূরে থাকা মোটেও ঠিক কাজ না।
দেহের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত। এজন্য সব রকম শর্করাজাতীয় খাবার বাদ দিচ্ছেন। তবে আখের রসের শর্করা ওজনে সমস্যা করে না। বরং রয়েছে নানান উপকারী দিক।
পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হল।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: আখের রস ওজন কমাতে উপকারী পানীয়। এক গøাস বা প্রায় ৩০০ মি.লি.লিটার আখের রসে ক্যালরি থাকে ১১১। এতে থাকে প্রাকৃতিক চিনি, সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। তবে এতে চর্বি নেই বিন্দুমাত্র। তাই নিয়মিত আখের রস পান করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
বিপাকে সহায়ক: পান করা সঙ্গে সঙ্গেই বিপাকীয় গতি বাড়িয়ে দেয় আখের রস, পাশাপাশি দেয় কর্মশক্তি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এই দুটাই জরুরি।
হজমে সহায়ক: ভোজ্য আঁশ প্রচুর পরিমাণে থাকে আখের রসে। ভোজ্য আঁশে ভরা খাবার ও পানীয় হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। মলের ওজন বাড়ায় আঁশ। যা পক্ষান্তরে তার অপসারণকে সহজ করে।
যকৃতের বন্ধু: জন্ডিস ও অন্যান্য যকৃতের রোগ প্রতিরোধ আখের রস বেশ কার্যকর। এছাড়াও শরীরের ‘ইলেক্ট্রোলাইট’য়ের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সহায়ক ভ‚মিকা রাখে আখের রসের ক্ষারীয় উপাদান।
ব্রণ ভালো করতে: এতে আছে ‘গøাইকোলিক অ্যাসিড’য়ের মতো ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডস (এএইচএ)’ যা ত্বকের জন্য উপকারী। ব্রণ প্রতিরোধে আখের রস অত্যন্ত কার্যকর।
মুখ ও দাঁতের যত্নে: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান খনিজ উপাদান মেলে আখের রসে যা দাঁতের ‘এনামেল’ শক্তিশালী ও ক্ষয়রোধ করে। পুষ্টির অভাবে হওয়া মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও কাজে লাগে এই পানীয়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: আশ্চর্যজনক মনে হলেও ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভ‚মিকা রাখে আখের রস। বিশেষ করে প্রস্টেট ও ¯Íন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে। আখে থাকা ‘ফ্লাভানয়েড’ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে ছড়াতে দেয় না।
* মনে রাখতে হবে: রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে নোংরা যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা আখের রস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।