শনিবার সকালে ঘটনা দুটি ঘটে মিজমিজি আল আমিন নগর ও পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায়।
খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আর ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে জনতা-পুলিশ আধা ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ওই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পদ্মাসেতুর জন্য এক লাখ মানুষের মাথা লাগবে বলে সামাজিক মাধ্যমে উদ্ভট কথা ছড়িয়ে দেওয়ার পর বহুজন বিশ্বাস করেছে এই বক্তব্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরিচিত মানুষকে সন্দেহে পেটানোর ঘটনা ঘটছে। ঢাকার মোহাম্মদপুর ও নেত্রকোণায় একজন করে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহুজন।
নারায়ণগঞ্জের দুটি গণপিটুনিই এই গুজবের কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পিটুনির শিকার দুই জন কী কারণে ওই শিশুদের কাছে গিয়েছিলেন, সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।
সকাল আটটার দিকে মিজমিজি আল আমিন নগর এলাকার সোহেলের সাত বছর বয়সী মেয়ে সাদিয়া স্কুলে যাচ্ছিল। পথে নিহত যুবক তার হাতে হাঁটছিল। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ওই যুবক ‘অসংলগ্ন’ কথাবার্তা বললে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে গণপিটুনি দিলে ওই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পরেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তাকে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পাইনাদী নতুন মহল্লার শাপলা চত্ত্বর এলাকায় ইটালি প্রবাসী বিল্লালের বাড়ির চার তলায় খাদিজা নামে একজনের ফ্লাটে যান রেশমা নামে এক নারী। তিনি খাদিজার তিন বছর বয়সী নাতি নাদিমকে একটি পুতুল দেন। পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে বাড়িওয়ালাকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে পরে জনতা। তারা ওই নারীকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে পিএম এর মোড়ে আল বালাগ স্কুলে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত জনতার তাকে নিতে দেয়নি। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, নিহতের নাম পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।