দেশজনতা অনলাইন : বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,আন্দোলন শুরু হয়েছে নেত্রীকে মুক্ত করার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমেছে এই রাস্তার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য। বরিশালে আমরা সমাবেশ করেছি। আজ (শনিবার) সমাবেশ হবে চট্টগ্রামে। ২৫ তারিখে হবে খুলনায়, পর্যায় ক্রমে সব বিভাগে হবে । তারপরে সব জেলাতে সমাবেশ করা হবে।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল্লাহ হিল মাসুদেরর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস,সংগঠনের মহাসচিব ড. মমতাজ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম,কৃষকদলের সদস্য লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্তিত ছিলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভাবতে কষ্ট হয় যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এরিস্টোটল, বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, যিনি বাংলাদেশের গণমানুষের কাজ করার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যিনি নারী শিক্ষা ক্ষেত্রকে বিশেষ স্থানে নিয়ে এসেছেন,ক্ষমতার বাইরে থেকেও যিনি এদেশের মেহনতী মানুষ ও কৃষকদের জন্য কাজ করেছেন একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তথা কথিত বিচারের নামে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সেই দেশনেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এবং এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার যারা সহ্য করেছেন তাদের জন্য ইতিমধ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমেছে। এই রাস্তার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বরিশালে আমরা সমাবেশ করেছি। আজ সমাবেশ হবে চট্টগ্রামে । ২৫ তারিখে হবে খুলনায। পর্যায় ক্রমে সব বিভাগে হবে। তারপরে সব জেলাতে সমাবেশ করা হবে ।
এই আন্দোলন শুরু হয়েছে নেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত, করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো। তিনি বলেন, শিক্ষকরা রাস্তায় পেটের তাগিদে সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই। শ্রমিকের শ্রমের মূল্য নাই । আদালতে গিয়ে বিচারকের সামনে সন্ত্রাসীরা খুন করছে এই দেশে পুলিশ প্রশাসন বিচার ব্যবস্থা আইন শৃঙ্খলা সবকিছু ভেঙে পড়েছে। এই দেশে স্বাভাবিক কোনো নির্বাচন হয় না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা, উপজেলাসহ কোন নির্বাচনই স্বাভাবিকভাবে হয় না। বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। এটা যদি থেকে যায় বাংলাদেশে মুক্তি যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিল এটা আমরা ভুলে যাব।মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছিল ২ লক্ষ মা বোন অভ্র হারিয়েছিল এটা মিথ্যা হয়ে যাবে যদি এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আজ দেশে ধর্ষণের যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত আমার মা বোনেরা কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ঘর থেকে বের হতে পারছে না নিরাপত্তার অভাবে।এই দেশে মহিলা পরিষদ যেগুলো সংগঠন আছে এক সময় তারা একটা ধর্ষণের জন্য সারা দেশ তোলপাড় করেছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ সময় তিনি বলেন, আসুন শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নয় এই দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আসুন আমরা রাস্তায় নামি।