সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপারেটর দু’টির এনওসি ইস্যু করা আমরা দ্রুত বন্ধ করে দেবো।’
প্রসঙ্গত, বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করায় গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডইউথ কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। গ্রামীণফোনের ৩০ ভাগ এবং রবির ১৫ ভাগ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দিতে ওই দিনই কয়েকটি আইআইজিকে (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) নির্দেশনা পাঠায় বিটিআরসি।
এই নির্দেশনা কার্যকরের পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েন। বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল গ্রাহকদের। বাফারিং ছাড়া ইউটিউব দেখা যাচ্ছিল না। অন্যদিকে কল ড্রপের সংখ্যাও বেড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ থেকে ব্লক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
ওই বৈঠকের এক দিন পরেই বিটিআরসি সংবাদ সম্মেলন করে ব্যান্ডউইথ থেকে ব্লক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত অপারেটর দু’টিকে কোনও এনওসি দেওয়া হবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। পাওনা আদায়ে বিটিআরসি আরও কৌশল অবলম্বন করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।